একসঙ্গে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ডিবার (Debar) করা হয়েছে

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালককে হেনস্থার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ ঠিকাদারের মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ডিবার (Debar) বা ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে বিরত রাখা হয়েছে। এই ডিবার (Debar) প্রক্রিয়াকে অনেকে কালো তালিকাভুক্ত করা হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিবার/কালো তালিকাভুক্ত করে সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুনঃ প্রকল্প পরিচালককে নিরাপত্তা দেয়াও রাষ্ট্রের দায়িত্ব
ডিবার তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলোঃ
-
- মুহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের মেসার্স মাহমুদা বিল্ডার্স ও মেসার্স এস জে ট্রেডার্স,
- আশীষ কুমার দের মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ,
- সঞ্জয় ভৌমিকের মেসার্স বাংলাদেশ ট্রেডার্স,
- মোহাম্মদ ফেরদৌসের মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজ,
- সুভাষ মজুমদারের মেসার্স জয় ট্রেডার্স,
- মো. হাবিব উল্লা খানের মেসার্স খান করপোরেশন,
- মো. নাজিম উদ্দিনের মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্স,
- মো. নাজমুল হোসেনের মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজ,
- মো. ইউসুফের মেসার্স ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্স, এবং
- আলমগীরের মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজ।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় এসব ঠিকাদার জড়িত আছেন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারীরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত এ ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিবার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ডিবার তালিকাভুক্তি হওয়ার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোন উন্নয়নকাজ করতে পারবে না। তবে উল্লেখিত আদেশে কোন সময়সীমা বা সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও তা প্রযোজ্য কি না এর কোন উল্লেখ করা হয় নি।
ডিবার তালিকাভুক্তির আদেশের কপি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিইউ) পাঠানো হবে মর্মে জানা গেছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে একদল ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ঢুকে তাঁকে হেনস্থা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সরকারি দরপত্রে এনজিওদের অংশগ্রহণঃ যুক্তি-তর্ক-বিতর্ক
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সরকারি ক্রয় আইন সংশোধন করেছে যাতে এনজিও (NGO) বিষয়ক কিছু পরিবর্ধন করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ,

NGOs in Public Tenders: Prospects and Pitfalls ?
Recently, the Bangladesh Government has revised the public procurement law to let NGOs to compete on tenders. In the evolving

কারিগরী প্রস্তাব মূল্যায়নে স্কোরিং বা গ্রেডিং সিস্টেমের গুরুত্ব
বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা (Consultancy Service) ক্রয়ের জন্য সফল পরামর্শক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরামর্শকের কারিগরী প্রস্তাবের গুণগত মানই প্রধান বিবেচ্য বিষয়

MAPS এবং বাংলাদেশ
MAPS বা Methodology for Assessing Procurement Systems হলো একটি হাতিয়ার (Tools) যা বিশ্বব্যাপী পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমকে মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত