সরকারি কর্মচারীরা জুম প্ল্যাটফর্ম বা অনলাইনে কোনো বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিলেও নগদ টাকা ভাতা পাবেন। তবে এখন থেকে সেই ভাতা মিলবে আগের চেয়ে অর্ধেক। কোর্স পরিচালক, কোর্স সমন্বয়ক ও সাপোর্ট স্টাফরাও পাবেন অর্ধেক হারে সম্মানী। যদিও প্রশিক্ষকেরা সম্মানী পাবেন আগের মতোই।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ৯ আগস্ট প্রশিক্ষণকাজের সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী, কোর্স পরিচালকসহ অন্যদের ভাতা ও সম্মানীর এ নতুন হার নির্ধারণ করে পরিপত্র জারী করেছে।
এ–বিষয়ক চিঠিতে বলা হয়েছে, আপ্যায়ন বাবদ কেউ কোনো টাকা পাবেন না। আর ২০১৯ সালের ২২ মে যেসব শর্ত উল্লেখ করে প্রশিক্ষণ ভাতা ও সম্মানীর হার নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রশিক্ষণার্থীরা এত দিন দৈনিক ৫০০ টাকা করে দুপুরের খাবার ভাতা এবং দুই বেলা চা-নাশতার ভাতা ৮০ টাকা করে পেয়ে আসছিলেন। জুম প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণ নিলে এ খাবার ভাতা ও চা-নাশতার ভাতা আর দেওয়া হবে না।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কোভিড-১৯–এর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর জুম প্ল্যাটফর্মে সাধারণ বৈঠক করার প্রবণতাও বাড়ে। এসব বৈঠকে অংশগ্রহণ করেও সরকারি কর্মচারীরা ভাতা বাবদ নগদ টাকা নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এমতাবস্থায়, করোনার কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে ভাতা ও সম্মানী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই কারণে গত ১ জুলাই সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ ও গাড়ি কেনায় লাগাম টানতে আলাদা দুটি পরিপত্রও জারি করে অর্থ বিভাগ।