গত ১০ বছরের হিসেব অনুযায়ি প্রায় বাংলাদেশে প্রায় ২০% দরপত্রে ১ জন টেন্ডার জমা দিয়ে আবার সেই ১ জনই কাজ পেয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি ৫টি দরপত্রের একটি “একক দরপত্রের ভিত্তিতে” হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে টিআইবির ‘বাংলাদেশে ই-সরকারি ক্রয়: প্রতিযোগিতামূলক চর্চার প্রবণতার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
কেবল একজন ঠিকাদার অংশ নিয়েছিলেন, এমন দরপত্রের মাধ্যমে গত ১১ বছরে ৬০ হাজার ৬৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব দরপত্রের প্রতিটিতে একজন ঠিকাদার অংশ নিয়েছিলেন এবং সেই ঠিকাদারই কাজ পেয়েছিলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (TIB) মনে করছে, এ ধরনের চর্চায় দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক প্রভাব ও ঠিকাদারের যোগসাজশে দরপত্রপ্রক্রিয়া একচেটিয়া হচ্ছে। এতে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত হয়। আগেই ঠিক হয়ে যায়, কাকে কাজ দেওয়া হবে।
টিআইবির মতে, ‘একজন ঠিকাদারের দরপত্র পড়লে দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিযোগিতার চর্চা হয় না। প্রতিযোগিতার বাজার দখল হয়ে যায়। সরকারি কেনাকাটায় ই-জিপি পদ্ধতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয় না। দুর্নীতি দমন কমিশন এ নিয়ে কাজ করতে পারে।’
তবে সরকারি ক্রয় আইন ২০০৬ অনুযায়ি একমাত্র দরদাতাকে গ্রহনযোগ্য হওয়া সাপেক্ষে কাজ দিতে কোন বাধা নেই।