নতুন প্রকল্প নেওয়া এবং অর্থ ছাড় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার আলোকে নির্বাচনের কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন করা যাবে না। কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত কোনো দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।
তবে এরইমধ্যে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড়া বা দেওয়া নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জারীকৃত নির্দেশনাটি নিচে দেওয়া হলঃ
তবে চলমান অর্থাৎ চুক্তি হয়ে যাওয়া কাজগুলোর কি হবে তা নির্দেশনায় স্পষ্ট নয় বলে অনেকেই মনে করছেন। যেমনঃ
-
- ইতোমধ্যেই যে সব প্যাকেজের NOA জারী হয়েছে সেগুলোর চুক্তি সম্পদান করা যাবে কি না ?
- যে সব দরপত্রের মূল্যায়ন চলমান আছে সেগুলোর NOA issue করা যাবে কি না ?
- যে সমস্ত স্কীমের দরপত্র ইতিমধ্যেই আহ্বান করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে কি না ?
- চুক্তিবদ্ধ চলমান প্যাকেজগুলোর বিল পরিশোধ বা প্রকল্প পরিচালক বরাবর ইতোমধ্যেই ছাড়কৃত অর্থ ব্যয় করা যাবে কি না ?
- উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার মাধ্যমে চলমান প্রকল্পের প্যাকেজগুলোর ক্ষেত্রেও একই রকম নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে কি না ?
- এই force majeure ঘটনার ক্ষেত্রে (নির্বাহী আদেশের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে) compensation দেয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে তা কিভাবে সমাধান হবে ?
এমতাবস্থায়, সারা দেশে চলমান বিশাল কর্মকান্ড ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উক্ত নির্বাহী আদেশে উপরোক্ত বিষয়ের অধিকতর স্পষ্টিকরণ প্রয়োজন ছিল। অন্যথায় চলমান সকল উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে এর সাথে জড়িত বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।