ই-জিপি চালুর সুফল পাচ্ছে দেশ – CPTU এর ব্রিফিং

গত ৩০.১২.২২ ইং তারিখে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) কর্তৃক পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোসহ নতুন নতুন উদ্যোগের ফলে দেশের ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট (ই-টেন্ডারিং বা ই-জিপি) প্রক্রিয়া পূর্ণতা পেয়েছে। দেশে ইলেকট্রনিক টেন্ডারিংয়ে (ই-টেন্ডারিং) বছরে ৬০ কোটি ডলার বা ৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নেও এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে ব্রিফিং এ উল্লেখ করা হয়। এ সিস্টেম থেকে বছরে ৪০০-৪৫০ কোটি টাকা আয় হয়। চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দক্ষতা উন্নয়নসহ অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ই-জিপি কাজ করছে।
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, রূপকল্প-২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দও বাড়ছে। একই সঙ্গে সরকারি ক্রয় বা ব্যয়ও বাড়ছে। বর্তমানে সরকারি ক্রয়ের মাধ্যমে বাজেটের ৪৫% ও এডিপির প্রায় ৮০% ব্যয় হয়।
CPTU কর্তৃক আয়োজিত ব্রিফিংয়ে Electronic Govt Procurement (ই-টেন্ডারিং বা ই-জিপি) এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য সমূহ তুলে ধরা হয়ঃ
-
- বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতিতেও ই-জিপি একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি।
- ইতোমধ্যে এ সিস্টেমটি আইএসও সনদ পেয়েছে।
- ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। এছাড়া নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা এক লাখের বেশি। দেশের সব নিবন্ধিত দরদাতার ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে।
- ৫৯টি ব্যাংকের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি শাখা সারা দেশে দরদাতাদের পেমেন্ট সেবা দিচ্ছে। অনলাইনেও পেমেন্ট চলছে। ই-জিপি রেজিস্ট্রেশন, টেন্ডার ডকুমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট ফি অনলাইনে দেওয়ার জন্য ই-চালান চালু করা হয়েছে।
- বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহবান করা দরপত্রের বিজ্ঞাপন ও চুক্তির ১০০ ভাগ প্রকাশিত হচ্ছে এবং যে কোনো নাগরিক সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখতে পারেন।
- আহবান করা দরপত্রের ৯৯ শতাংশ নির্ধারিত দরপত্র মেয়াদের মধ্যে চুক্তি করা হচ্ছে।
- এছাড়া ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৬ দশমিক ৭ দিন থেকে কমে ৫৮ দিন হয়েছে।
- একই সঙ্গে দরদাতাদের ৪৯ কোটি ৭০ লাখ কিলোমিটার ভ্রমণ দূরত্বও কমেছে।
- ১০৫ কোটি ৩০ লাখ কাগজ (পাতা) সাশ্রয় এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৯ টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়েছে।
- ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট (e-CMS) সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
- প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক দরপত্রসমূহ (ICT) ই-জিপিতে প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত মডিউল চালু করা হয়েছে।
- IBas++ এর সঙ্গে ই-জিপি সমন্বিত করা হয়েছে।
- এছাড়াও, ইজিপিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে।
এভাবেই ই-জিপি চালুর সুফল পাচ্ছে দেশ উল্লেখ করে CPTU এর ব্রিফিংয়ে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

Moral hazard এর সাথে প্রকিউরমেন্টের কি সম্পর্ক ?
মোরাল হ্যাজারড! এটা একটা খুবই আকর্ষণীয় বিষয়। Moral Hazard নিয়ে প্রাথমিক ধারণা পেতে দেখুনঃ Moral Hazard কি ? সরকারি ক্রয়

Moral hazard কি ?
মোরাল হ্যাজারড! এটা একটা খুবই আকর্ষণীয় বিষয়। Moral Hazard বা নৈতিক ঝুঁকি হল অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের একটা ধারণা যেটা এমন

দরপত্র দলিলের মূল্য কত হবে ? কিভাবে নির্ধারণ করবেন ?
ক্রয়কারী কর্তৃক দরপত্রদাতার নিকট সরবরাহের জন্য প্রস্তুতকৃত দলিল হচ্ছে দরপত্র দলিল বা টেন্ডার ডকুমেন্ট (Tender document) বা টেন্ডার সিডিউল। বিজ্ঞাপন

Agency theory and its relevance in procurement
Agency theory, also known as principal-agent theory, is a theory that explains the relationship between a principal and an agent.