ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে সরকার পতনের আগে ও পরের সহিংসতার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থমকে আছে। এছাড়া বন্ধ আছে যন্ত্রপাতি কেনা, চলমান কাজের বিল, আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজের অনুমোদনসহ উন্নয়ন কাজ সম্পর্কিত অনেক কিছুই।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলটির প্রভাবশালী ঠিকাদারদের যেমন দেখা মিলছে না, তেমনি সরকারের সমর্থনপুষ্ট ঠিকাদাররাও কাজে নেই। বড় প্রকল্পের পাশাপাশি ছোট প্রকল্পের কাজগুলোও স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের ঠিকাদার ও সাব- ঠিকাদারদের কর্মীদের আর কাজে দেখা যাচ্ছে না।
ঠিকাদাররা শঙ্কা হলো, যেসব কাজ চলমান রয়েছে সেসবের কোনটা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গুরুত্ব পাবে, আর কোনটা কম গুরুত্ব পাবে তা নিয়ে।
আরও খবরঃ অপরিহার্য নয়, এমন অঙ্গ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের
দেশের প্রায় সবখানেই ঠিকাদাররা পরিস্থিতি বুঝতে সময় নিচ্ছেন। এলাকায় এলে ঝামেলায় পড়বেন কি না কিংবা চলমান কাজের বাকিটুকু করলে ঠিকঠাক টাকা পয়সা পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে থাকার কথা বলছেন ঠিকাদাররা।
আরও খবরঃ ক্ষতি মেনেই বাদ দেয়া হবে চলমান যে কোনো প্রকল্প: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
আন্দোলনের সময় প্রকল্পগুলোয় টুকটাক ইনসিডেন্স হয়েছে বলে অনেক ঠিকাদার প্রকল্পে দপ্তরে জানাচ্ছেন। তাদের মালামালের কেমন ক্ষতি হয়েছে সেটা নির্ধারণ করতেছেন। এই ক্ষতিপূরণ কিভাবে হবে সেটারও কোন দিক-নির্দেশনা নেই।
আবার, স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশনসহ সব দপ্তর-অধিদপ্তরের জ্যোষ্ঠ প্রকৌশলী যারা প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বে আছেন তারাও একই দায়িত্বে থাকবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহে আছেন। সবকিছুই পরিবর্তনের মুখে রয়েছে। যে কারণে তারাও কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে ঠিকাদাররা কথাও বলতে পারছে না।
এ পরিস্থিতিতে ঠিকাদারদের দাবী হলো কোন কাজটা হবে আর কোনটি হবে না সে বিষয়ে সরকার যেন অতি দ্রুত একটা নির্দেশনা দেয়। কাজ বাতিল হলে বড় ধরনের আর্থিক লোকসান এড়াতে সরকারি ঘোষণার দিকে তাকিয়ে তারা।
bdnews24.com এ প্রকাশিত প্রতিবেদনঃ নানা শঙ্কায় মাঠে নেই ঠিকাদাররা, থমকে আছে প্রকল্পের কাজ