প্রায়শই মূল্যায়ন ও উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্যদের কে সম্মানী দেয়া হয় না অথবা মিটিং এর সংখ্যা কম দেখিয়ে কম সম্মানি দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু পিপিআর-০৮ এ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
পিপিআর-০৮ এর বিধি ৮(১৫) অনুযায়ি মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে উৎসাহ প্রদানের জন্য সভা আহ্বানকারী ক্রয়কারী নির্ধারিত হারে প্রত্যেক সদস্যকে ফি বা সম্মানী প্রদান করবে।
মূল্যায়ন কমিটির সদস্যগন দরপত্রের প্রাক্কলন অনুযায়ি প্রতি সভার জন্য সর্বাধিক ৬০০/- থেকে ৩০০০/- টাকা হারে সর্বোচ্চ ৩ টি সভার জন্য ফি বা সম্মানী প্রাপ্ত হবেন। উন্মুক্তকরণ কমিটির সদস্যগন একই হারে একটি সভার জন্য ফি বা সম্মানী প্রাপ্ত হবেন। আবার কারিগরী সাব-কমিটির সদস্যগনও একই হারে সর্বোচ্চ ২ টি সভার জন্য ফি বা সম্মানী প্রাপ্ত হবেন।
পিপিআর-০৮ এর বিধি ৭(৩) অনুযায়ি উন্মুক্তকরণ কমিটি এবং ৮(১৬) অনুযায়ি মূল্যায়ন কমিটি ও কারিগরি সাব-কমিটির সদস্যগণকে ফি বা সম্মানী প্রদানের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখতে হবে।
কিন্তু তারপরও প্রায়শই অভিযোগ পাওয়া যায় যে ক্রয়কারি থেকে যথাযথ সম্মানি প্রদান করা হয় না। আবার বিভিন্ন ক্রয়কারি দপ্তরে আলোচনা করে জানা যায় যে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ তারা পান না। ফলে বেশিরভাগ সময়ই ফি বা সম্মানী প্রদান করা যায় না।
এই সম্মানী না দেয়ার কারনে সরকারও পর্যাপ্ত ট্যাক্স হারাচ্ছে।
এই ন্যায্য পাওনা পূরণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষদের প্রতি ‘প্রকিউরমেন্ট বিডি‘ এর পক্ষ থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি।
10 thoughts on “সম্মানী পাওয়া মূল্যায়ন কমিটির অধিকার”
bKash Send money?
Yes.
উন্মুকরণ কমিটি কি সম্মানী পাবে
একটি মিটিং এর জন্য উন্মুক্তকরণ কমিটিও সম্মানী পাবে।
একজন ব্যক্তি এক তিনে সর্বোচ্চ কয়টি সন্মানী নিতে পারবেন? কোন সিলিং আছে কিনা?
একজন সদস্য ১টি প্যাকেজের দরপত্র মূল্যায়নে সর্বোচ্চ ৩টি সভার সম্মানী পাবেন।
সভাগুলো যৌক্তিক কারনে এবং সাধারণত আলাদা আলাদা তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একই দিনে একই দরপত্রের জন্য ২টি বা ৩টি সভা হবার কথা না।
সরকারি অফিসে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা অনলাইন (জুম) এর মাধ্যমে করার নিয়ম আছে কি? থাকলে তার সম্মানীর পরিমান কত হবে?
সরকারি দপ্তরগুলিতে এখন অনেক সভা-ই অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে এভাবেই সরকারি কাজ এগিয়েছে।
বর্তমানে বেশিরভাগ দরপত্র-ই ই-জিপিতে অনলাইনে হচ্ছে। ই-জিপিতে বেশিরভাগ কাজই অনলাইনে সম্পন্ন হয়। যার যার কম্পিউটারে আলাদা আলাদা আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রত্যেকে তার নিজস্ব অংশটুকুর কাজ করতে পারে। মূল্যায়ন কমিটিতেও সদস্যরা আলাদা আলাদা ভাবে যার যার মূল্যায়ন ও মতামত দিয়ে থাকেন।
সে হিসেবে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা কিন্তু অনলাইনেই হচ্ছে। তবে মূল্যায়ন কমিটির সদস্যরা যদি ই-জিপি সিস্টেমের বাইরেও আলাদা সভা করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে চান তবে অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অবশ্যই সভা করতে পারবেন। তবে অনলাইনে এভাবে সভা করলেও নিজস্ব মন্তব্য ই-জিপিতে প্রদান করতে হবে।
কাজেই ই-জিপি টেন্ডারের ক্ষেত্রে সব মিটিং-ই অনলাইন মিটিং হিসেবে গণ্য হবে। সরাসরি মিটিং করা অপশনাল।
আর অফলাইন দরপত্রের ক্ষেত্রেও যদি মূল্যায়ন কমিটির সদস্যরা নিজেরা সরাসরি বসে মিটিং না করে অনলাইনেই মিটিং করে সে অনুযায়ি সভার রেজুলেশন স্বাক্ষর করেন তবে সেই সভাগুলোও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা হিসেবে গণ্য করতে কোন বাধা নেই।
সাধারণত, দরপত্র মূল্যায়নে ৩টি আবশ্যকীয় ধাপ শেষ করতে হয়ঃ ১) প্রাথমিক ও কারিগরি মূল্যায়ন, ২) আর্থিক মূল্যায়ন ও ৩) দাখিল-উত্তর যোগ্যতা যাচাই। এই তিনটি কাজ শেষ হলেই তারপর মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন সমাপ্ত করে সুপারিশ সহকারে তা অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করতে পারেন। কাজেই, যে কোন অনলাইন বা এ-জিপি দরপত্র মূল্যায়নে ৩টি সভা এবং সে অনুযায়ি প্রত্যেক সদস্য ৩টি সম্মানি প্রাপ্য হবেন।
সার্ভে কমিটি কি কোন সম্মানী পাবে?
সার্ভে কমিটি বলতে কি বোঝাচ্ছেন পরিষ্কার হলো না।
তবে সরাসরি এই নামে কোন কমিটির কথা PPR-08 এ উল্লেখ নেই।