Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

সরকারি ক্রয়ে কেন কোটা থাকবে ?

Facebook
Twitter
LinkedIn

সরকারি ক্রয় কোটা সিস্টেম থাকায় ঠিকাদাররা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩১(৩) অনুযায়ি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আভ্যন্তরিন কেনাকাটায় কার্যের ক্ষেত্রে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০% পর্যন্ত কম-বেশি দর হাকা প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে। এই ১০% দরসীমা ‘প্রাইস ক্যাপ’ হিসেবে পরিচিত। এখন, সংশ্লিষ্ট আইনটি মেনে দরপত্র আহবানে বাধ্যবাধকতা থাকায় সকল ক্রয়কারি এবং ঠিকাদাররা প্রথম থেকেই বিরুপ পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন।

ক্রয় আইনের এই বিতর্কিত ধারাটির কারণে টেন্ডারারদের মধ্যে এক ধরনের তাড়না তৈরি হয়েছে … … যে কোনো মুল্যে প্রাক্কলিত মূল্য জানতে হবেএরপর থেকেই এই প্রাক্কলিত দর ফাঁস হওয়া শুরু হয়েছেফলে ২০১৬ সালের আইনে প্রাইসক্যাপ যুক্ত করার পর থেকে ১০% কম দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই কাজ পাচ্ছে। যদিও সরকারি ক্রয় আইন ২০০৬ এর ৬৪’র ৩ ও ৪ ধারা অনুযায়ী তথ্যফাঁসের অপরাধে প্রকল্প পরিচালক বা ক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করা যায়।

সরকারি ক্রয়ে দুর্নীতি ও পেশী শক্তির ব্যবহার এড়াতে ই-টেন্ডার চালু করে সরকার। নিয়ম অনুযায়ী, প্রাক্কলিত দর সিলগালা অবস্থায় গোপন রাখার কথা থাকলেও, মানা হচ্ছে না। এ চিত্র উঠে আসে বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণায়। ফলে, ই-জিপি ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং কার্যকারিতার মতো তিনটি মৌলিক ক্ষেত্রেই অবস্থান উদ্বেগজনক।

প্রাক্কলিত দর না জেনে কাজ পাওয়া অসম্ভব, তাই সরকারি টেন্ডারে অংশগ্রহণ কমেছে। গড়ে মাত্র ২ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। মাত্র এক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণও বেড়েছে। ম্যাট্রিক্স পদ্ধতিতে বেশি কাজ করা ঠিকাদাররা পাচ্ছে একচেটিয়া সুবিধা।

এ বিষয়ে আরও দেখুনঃ

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে দুঃখজনকভাবে প্রতিযোগিতা নাই, স্বচ্ছতাও জিরো। এ কারণে দুর্নীতি হচ্ছে, অরাজকতা হচ্ছে। আর এ জন্য বেশি দামে জিনিসপত্র কিনছি আমরা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দরপত্রে ১০% দরসীমার এই ‘প্রাইস ক্যাপ’ নিয়ে একটি প্রতিবেদনই প্রকাশিত হয়েছে।

সওজ সূত্র বলছে, প্রাক্কলিত ব্যয় ঠিকাদারের জানার কথা নয়। তবে সওজে রীতি হয়ে গেছে যে সব ঠিকাদারকেই প্রাক্কলিত ব্যয় বলে দেওয়া হয়। আর সবাই ১০% কম ধরে দর প্রস্তাব করে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত দেখুনঃ দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট

অবাধ প্রতিযোগিতার বিপরীতে এমন বৈষম্যমূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কারণে দূর্ণীতিবাজ ও সিন্ডিক্যাটের সাথে জরিতরা ছাড়া সরকারি ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই আইনের বিপক্ষে প্রথম থেকেই অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তা বাতিল করা হয়নি।

প্রকিউরমেন্টবিডি.কম প্রথম থেকেই এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

এ বিষয়ে আরও দেখুনঃ

কাজেই, এখন দাবী হচ্ছে, বৈষম্যহীনতার এই বাংলাদেশে কেন বৈষম্য সৃষ্টিকারী কোটা পদ্ধতি থাকবে ???

কাজেই  অনিতিবিলম্বে … … সরকারি ক্রয় আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩১(৩) বাতিল চাই, করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

প্রকিউরমেন্ট বিডি news

ই-জিপি সাইট ধীর গতির

ই-জিপি সাইট ধীর গতির। সার্ভারে কাজ করতে অনেক সময় বেশি লাগছে মর্মে ব্যবহারকারিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সরকারি

Read More »
FAQ

ই-জিপি তে লটারি নিয়ে নাভিশ্বাস, অবিশ্বাস ও কিছু সুপারিশ

উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (ওটিএম – OTM) সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য দরপত্র পদ্ধতি হলেও দরপত্রে অংশগ্রহনের হার বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে এলটিএম (Limited Tendering

Read More »
FAQ

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেন্ডার পদ্ধতি কি ?

পণ্য, কার্য, সেবা, ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ক্রয় পদ্ধতি আছে। যেমনঃ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি (OTM), সীমিত দরপত্র পদ্ধতি (LTM), কোটেশন

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

 

** সীমিত সময়ের জন্য Discount চলছে।

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

Scroll to Top