Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠনে অনিয়ম

Facebook
Twitter
LinkedIn

সরকারি টেন্ডারে বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় আইন (Public Procurement Act-2006) ও বিধিমালা (Public Procurement Rules-2008) মোতাবেক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (Tender Evaluation Committee – TEC) গঠন করতে হয়। এর অন‌্যথা হলেই অনিয়ম। এ ধরনের অনিয়ম দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সম্প্রতি, বিআইডব্লিউটিএ’র ১১ হাউজবোট ক্রয়ের মূল্যায়ন কমিটি গঠনে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের অধীনে ১১টি ক্রু হাউজবোট কেনার জন্য ২০২৪ সালের ৬ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। গত বছরের ১৫ জুলাই তাদের মধ্যে একটিকে কাজ দেওয়ার সুপারিশ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। অভিযোগ উঠেছে, এই দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা মানা হয়নি।

অভিযোগ হলো – ই-জিপিতে আহবানকৃত দরপত্রটিতে মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রকল্প পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মূল্যায়ন কমিটি অনুমোদন করেছেন বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান।

এ অভিযোগ নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ মে বিআইডব্লিউটি এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। মূল্যায়ন কমিটি গঠনে বা অনুমোদনে অনিয়ম হয়েছে কি না জানতে চাওয়ার পাশাপাশি ই-জিপি সিস্টেমের ওয়ার্ক ফ্লো দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া, প্রকল্প পরিচালককে মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক কেন করা হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

গত ২৮ মে মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির ব্যাখ্যা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটির ব্যাখ্যায় দরপত্র প্রক্রিয়ার এই অনিয়মকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দরপত্রটি ই-জিপি সিস্টেমে আহ্বান করা হলে অনলাইনে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। মূল্যায়ন কমিটিতে হোপ (HOPE) এর অব্যবহিত নিম্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসেবে প্রকল্প পরিচালককে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান করাকালীন মূল্যায়ন কমিটি গঠনের সময় ই-জিপিতে ওয়ার্ক ফ্লো তৈরিতে ভুলক্রমে HOPE-কে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে রাখা হয়। ফলে তা HOPE কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং প্রকল্প পরিচালককে দরপত্রের মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। ই-জিপি সিস্টেমে মূল্যায়ন কমিটি গঠন ও অনুমোদনের বিষয়টি সিস্টেম কর্তৃক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে এ জাতীয় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ ঘটনায় মন্ত্রনালয় হতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে জানা গিয়েছে।

গত বছরের ১৫ জুলাই দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে থ্রি অ্যাঙ্গেল মেরিনের নাম সুপারিশ করে। এরপর এর সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে ধরা পড়ে মূল্যায়ন কমিটি গঠনে অনিয়মের বিষয়টি। ফলে আটকে যায় এ টেন্ডার প্রক্রিয়া।


পিপিআর ২০০৮ এর বিধিতে এগুলো নিয়ে কোথায় কি আছে বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সূ-চর্চা

টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) এর কিছু বাস্তব উদাহরণ

টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) হচ্ছে এমন একটি ক্রয় এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সামগ্রিক ভাবে ব্যয়ের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক

Read More »
সমসাময়িক

অধ্যাদেশ জারীর পরও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সংস্কার আটকে আছে কেন !

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারী করা হয়েছে। এর মূল

Read More »
FAQ

একাধিক ঠিকাদারের দর সমান হলে Past Performance Matrix দিয়ে কিভাবে Ranking করবেন

পিপিআর-০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ি একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে দর সমান হলে কিভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারন হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে

Read More »
Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors
গ্রাহক হোন

শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে এখানে ক্লিক করুন

 

** সীমিত সময়ের জন্য Discount চলছে।

ফ্রী রেজিস্ট্রেশন

“প্রকিউরমেন্ট বিডি news”, “সমসাময়িক”, “সূ-চর্চা”, “প্রশিক্ষণ” অথবা “ঠিকাদারী ফোরাম” ইত্যাদি বিষয়ে কমপক্ষে ২টি নিজস্ব Post প্রেরণ করে এক বছরের জন্য Free রেজিষ্ট্রেশন করুণ। Post পাঠানোর জন্য “যোগাযোগ” পাতা ব্যবহার করুণ।

সূচীঃ PPR-08

Scroll to Top