অবশেষে সরকারি কেনাকাটায় ১০% মার্জিন বাতিল
টেন্ডারে সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বার বার কাজ পেতো, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে।
২০১৬ সালে এই আইন জারী হবার পর থেকেই তা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক উঠেছে, আন্দোলন হয়েছে।
দেখুনঃ ১০% দরসীমায় টেন্ডারের বিষয়ে তীব্র আপত্তি
দেখুনঃ ১০% আইন বাতিল এখন সময়ের দাবী
পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩১ এর উপধারা (৩) অনুযায়ি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আভ্যন্তরিন সরকারি কেনাকাটায় কার্যের ক্ষেত্রে কোনো দরদাতা দরপত্রের দাপ্তরিক প্রাক্কলনের ১০ ভাগ কম বা বেশি মূল্য দরপত্রে উল্লেখ করলে দরপত্র বাতিল হয়ে যাবে। এই আইন অবলম্বনে দরপত্র আহবান করায় সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারি এবং ঠিকাদাররা বর্তমানে বিরুপ পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে।
উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় দরসীমা ঠিক করায় সরকারি কেনাকাটায় নানা সমস্যা হচ্ছিলো। এতে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা কমেছে, বড় ঠিকাদারেরা বেশি কাজ পাচ্ছেন। সরকারি কেনাকাটা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে সরকারি কেনাকাটায় যেসব দুর্বলতা দেখা যায়, সেগুলোও উঠে এসেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে এই ১০% আইন বাতিলের সুপারিশ এসেছে সরকারের এবং সরকারের বাইরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে।
আরও দেখুনঃ সরকারি কেনাকাটায় ১০% মার্জিন বাতিলের উদ্যোগ
আরও দেখুনঃ অবশেষে ক্রয় আইনের ১০% ধারা বাতিলের সুপারিশ
১০% সংক্রান্ত বিধান প্রত্যাহার করা হলে ঠিকাদারদের যোসাজশে অস্বাভাবিক নিম্নদর প্রস্তাবের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এই বিষয়টি এখন নতুন আইনে কিভাবে সংশোধন করা হয় তাই দেখার বিষয়।
বর্তমানে ৬৫% কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিকে ১০০% এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়াও, এলটিএম এর ৫% বিধান বাতিলের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি।
এই লেখকের অন্যান্য লেখা

কখন ‘চুক্তি বাতিল প্রস্তাব পর্যালোচনা কমিটি’ গঠনের প্রয়োজন নেই
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট

‘চুক্তি বাতিল প্রস্তাব পর্যালোচনা কমিটি’ কি ? গঠন প্রণালী ও কাজ কি ?
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট

চলমান কোন চুক্তি গুলোতে পিপিআর-২০২৫ প্রয়োগ হবে আর কোনগুলোতে হবে না ?
সম্প্রতি গত ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫) প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত দেখুনঃ PPR-2025 সংক্রান্ত আলোচনা নতুন

বিধি ১৫৪ (পিপিআর-২০২৫) প্রয়োগ নিয়ে BPPA’র পরিপত্র জারী
সম্প্রতি গত ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ (পিপিআর ২০২৫) প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্তারিত দেখুনঃ PPR-2025 সংক্রান্ত আলোচনা নতুন