সকল সরকারি দপ্তরে ই-জিপি বাস্তবায়নে নির্দেশনা

সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ে সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউ’র উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে। ওই বছরই ৪টি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা হয়। ক্রয়কারী সংস্থাগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
বর্তমানে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে দরপত্র আহ্বান। মাত্র ১২ বছরের মধ্যে ই-জিপিতে সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের এই ব্যাপক অংশগ্রহণ সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনে বড় ধরনের একটি সাফল্য।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ“ বাস্তবায়ন এবং সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-জিপি’র পূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি।
তারপরও এখনও কিছু কিছু সংস্থা ই-জিপিতে অন্তর্ভূক্ত হয় নি এবং অনেক সংস্থা বা দপ্তরে সকল দরপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ই-জিপি তে আহবান করা হচ্ছে না। কিন্তু সরকারি সকল দপ্তর ও সংস্থায় ই-জিপি’র পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা গুলো হলোঃ
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ১২৪ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারি ক্রয়ে সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধীন অফিসসমূহের ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ করা আবশ্যক।
- ০৬ আগস্ট ২০১৫ তারিখে “ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্স” এর সভায় সরকারি ক্রয়ে সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধীন অফিসসমূহের ই-টেন্ডারিং পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
- ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত ৪.৪ অনুযায়ী সকল ক্রয়কারী সংস্থার ই-জিপিতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক।
ই-জিপি চালুর সুফল পাচ্ছে দেশ। এখন উপরের নির্দেশনা অনুযায়ি সরকারি সকল দপ্তর ও সংস্থায় ই-জিপি’র পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

সিএজি কার্যালয়ে অডিট সংক্রান্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চলছে
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও

“Significantly low price)” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

“ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট বা রেট কন্ট্রাক্ট” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি