ই-জিপি সম্প্রসারণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বৃদ্ধি

বিশ্বব্যাংক সরকারি ইলেক্ট্রনিক ক্রয়-ব্যবস্থা (ই-জিপি)’র সম্প্রসারণের পাশাপাশি কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য ৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে চলমান প্রকল্প (ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট) এ এই বাড়তি অর্থায়ন অনুমোদন পেয়েছে। চলমান এবং নতুন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেড় বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। এই অতিরিক্ত ৪ কোটি ডলার অর্থায়নের মাধ্যমে এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা এখন সাড়ে ৯ কোটি ডলার।
শুধুমাত্র Registered ব্যবহারকারিগন-ই সব ফিচার দেখতে ও পড়তে পারবেন। এক বছরের জন্য Registration করা যাবে। Registration করতে ক্লিক করুন।
গত ১০ বছরে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশন যাকে ই-জিপি বলা হয়। ই-জিপির কারণে সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, করোনা মহামারি ও সাধারণ ছুটির দিনেও ই-জিপি সারা দেশে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ই-জিপির মাধ্যমে কোন মহামারিতে উন্নয়ন কাজ থেমে থাকবে না। এর মাধ্যমে শতভাগ অর্থ ব্যবহার নিশ্চিত এবং দেশে সময়োপযোগী ও গুণগত মানের সরকারি কাজ এবং পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি নিশ্চিত হবে।
এই অতিরিক্ত অর্থায়ন –
-
- সব পাবলিক ক্রয়কারি প্রতিষ্ঠানে ই-জিপি সম্প্রসারণে সহায়তা করবে,
- জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে এবং টেকসই ক্রয়ের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সাহায্য করবে,
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং নারী উদ্যোক্তা ও সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করবে,
- আন্তর্জাতিক নিলাম, সরাসরি চুক্তি, কাঠামো চুক্তি, ইলেকট্রনিক চুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং অর্থপ্রদান, ক্রয় ডাটা অ্যানালিটিক্স, জিও-ট্যাগিং।
- এই অতিরিক্ত অর্থায়ন ই-জিপি ডাটা সেন্টারের ক্ষমতা বাড়াতে এবং সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে সাহায্য করবে,
- ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং পেমেন্ট মডিউল দেশব্যাপী চালু করা নিশ্চিত করবে,
- চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ সম্প্রসারণে সহায়তা করবে,
- দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠিত ই-জিপি ডাটা সেন্টারের ক্ষমতা ও সাইবার-নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, ইত্যাদি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অন্যতম বৃহৎ আইডিএ কর্মসূচি রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান, সুদ-মুক্ত ঋণ ও বিশেষ ঋণ সুবিধা দিয়েছে।
আবার, ২০০২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক সরকারি ক্রয় উন্নয়নে সরকারকে সহায়তা করে আসছে। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সরকার চারটি ক্রয় প্রতিষ্ঠানে ই-জিপি চালু করে। ২০২০ সালে দেশে সরকারি ক্রয় ব্যয়ের প্রায় ৬২ শতাংশ ইজিপিতে সম্পন্ন হয়। এ ক্রয় চুক্তির মধ্য দিয়ে ১ হাজার ৭শ’ ৫০ কোটি ডলার ই-জিপি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
এ বিষয়ে পূর্বের রিপোর্টঃ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোর ই-জিপি রূপায়ণে সহযোগি হিসেবে কাজ করবে এলজিইডি

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) এর কিছু বাস্তব উদাহরণ
টেকসই ক্রয় (Sustainable Procurement) হচ্ছে এমন একটি ক্রয় এবং বিনিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সামগ্রিক ভাবে ব্যয়ের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক

Bangladesh: Public Procurement Reform Stuck Even After the Ordinance Issued!
The Government of the People’s Republic of Bangladesh issued the “Public Procurement (Amendment) Ordinance, 2025” on May 4, 2025. Its

অধ্যাদেশ জারীর পরও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সংস্কার আটকে আছে কেন !
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ৪ঠা মে ২০২৫ ইং তারিখে “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫” জারী করা হয়েছে। এর মূল

একাধিক ঠিকাদারের দর সমান হলে Past Performance Matrix দিয়ে কিভাবে Ranking করবেন
পিপিআর-০৮ এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ি একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে দর সমান হলে কিভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারন হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে