করোনা পরিস্থিতিতে পূর্ত কাজের কার্যাদেশ প্রদান বন্ধ রাখতে হবে


সুতরাং উপরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ি সব ধরনের পূর্ত কাজ-ই এই নির্দেশনার আওতায় পরবে। অর্থাৎ উপজেলার এডিপি, যে কোন থোক বরাদ্দ বা নিজস্ব আয় হতে ক্রয় কার্যক্রম, বৈদেশিক সাহায্য পুষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইত্যাদি পূর্ত কাজ নির্বিশেষে সব ধরনের নির্মাণ-স্থাপনা সংক্রান্ত নতুন কাজের কার্যাদেশ বা NOA প্রদান করা যাবে না।
তবে, এর আওতায় পণ্য (Goods) ও সেবা (Services) বা আউট সোর্সিং সংক্রান্ত দরপত্রের কাজের কার্যাদেশ বা NOA প্রদান করা যাবে। অবশ্য ইতোমধ্যেই গাড়ি ক্রয় না করার জন্য নির্দেশনা বহাল আছে … বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন।
এই নির্দেশনা ই-জিপি বা ম্যানুয়াল সব ধরনের পূর্ত কাজ (Works) এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
তবে, এই প্রজ্ঞাপনে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা হয় নি –
১। যে সমস্ত দরপত্রগুলোর মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান আছে সেগুলোর টেন্ডার ভেলিডিটি (Tender validity) এর মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নি। অন্তত জুন ২০২১ পর্যন্ত যে বৃদ্ধি করতে হবে তা এই প্রজ্ঞাপনে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু এই মেয়াদ আবারও বাড়বে কি না তা বলা হয় নি। কতদিন পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা হবে তার কোন ধারনা দেয়া হয় নি।
২। আবার, টেন্ডার সিকিউরিটিগুলোর কি হবে ? দরপত্র মূল্যায়ন সমাপ্ত হলেও তিনটি দরপত্রের টেন্ডার সিকিউরিটি ছাড় না করার বিষয়ে PPR-08 এ বাধ্য বাধকতা আছে।
যে প্রকল্পগুলো এই বছরে বা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে সেগুলোর বিষয়ে এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বর্তমানে সারাদেশে লকডাউন চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এ অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে পূর্ত কাজ বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব এবং ঝুকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এখন, কোভিড-১৯ এর বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সরকারের কৃচ্ছতা সাধনের নীতির বাস্তবায়নের জন্য এই প্রজ্ঞাপন একটি সময়োচিত পদক্ষেপ বলে বিজ্ঞজনরা মনে করছেন।

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

Reverse Logistics: The Untapped Goldmine in Modern Procurement
In today’s competitive and environmentally conscious marketplace, the conversation around logistics is no longer just about moving goods from Point

চুক্তি অনুমোদনের সময় বাজেট বরাদ্দ আছে কি না তা জানা প্রয়োজন কেন ?
বাজেট হচ্ছে ক্রয়কারি দপ্তরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। ক্রয়কারি দপ্তরে বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যয়ের সমন্বয় সাধন করতে হয় এবং সে মোতাবেক

সিএজি কার্যালয়ে অডিট সংক্রান্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চলছে
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয়ের ৫২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে চার দিনব্যাপী (১২-১৫ মে, ২০২৫) সারা বাংলাদেশের সকল নিরীক্ষা ও

“Significantly low price)” নিয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ কী কী উল্লেখ আছে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশ হলো “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫”। এই অধ্যাদেশটি